সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
নীলফামারীতে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ।
সত্যেন্দ্রনাথ রায়,নীলফামারী,প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডোমারে ছড়িয়ে পড়েছে গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগ।এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের খামারি ও প্রান্তিক কৃষকেরা।গ্রামের হাতুড়ে পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ভুল চিকিৎসায় অর্থ অপচয় হলেও মিলছে না কোন সঠিক সমাধান।এতে
করে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পরেছে গরু খামারি ও প্রান্তিক কৃষকেরা ।এই রোগে গরুর মৃত্যু ও সুস্থ হওয়ার বিষয়ে যানতে চাইলে ডোমার উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস যানায় রোগে আক্রান্ত হওয়া গরু যে সব বাচবে তা কিন্তু নয়, কিছু মারাও যেতে পারে।
স্বরজমিনে গিয়ে যানাজায় হরিনচড়া ইউনিয়নের হ্ংসরাজ গ্রামের প্রাণকৃষ্ট বর্মনের ৭০ হাজার টাকা মুল্যের সাইওয়াল স্বার দুইমাস চিকিৎসা পর ২৩ জুন মারা যায়। একই এলাকার মৃত খিরোদ চন্দ্র রায়ের ছেলে লিটন রায়ের চল্লিশ হাজার টাকা একটি লাল বাচ্চি ও দিলিপ চন্দ্র রায়ের ৩৫ হাজার টাকা মুল্যের একটি গরু মৃত্যু বরন করে । এছারা এলাকায় বর্তমানে যেসব ব্যাক্তির গরু লাম্পি রোগে আক্রান্ত হয়েছে তারা হলেন কানু চন্দ্ররায়,জীবন চন্দ্র রায়, দুলাল চন্দ্র,ধর্ম চন্দ্র রায়,সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা গ্রামের মৃত বাচ্চানু রায়ের ছেলে ভুবন রায়(বাঙ্কুয়া)।দেখাগেছে বড় গরুর চেয়ে ছোট বাছুরে মধ্যে এ রোগ ব্যপক আকারে ছরিয়েছে পড়েছে। তবে আক্রান্তের তুলনায় গরু মরছে কম।এতে করে আতংঙ্কিত হয়ে পরেছেন প্রান্তিক কৃষক ও খামারিরা।
হংসরাজ গ্রামের কৃষক প্রাণকৃষ্ট অভিযোগের সুরে বলেন আমরা বাপু সাধারন কৃষক মানুষ বিপদে শেষ সম্বল টুকুই হল গরু,সেই গরু যদি লাম্পি রোগে মরে আমরা তো পথে বসে যাব। প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে কৃষকের সচেতন করতে কি সরকারিভাবে কি কোন পরামর্শ নেই,আমরা গরু বাঁচাতে পারছি। নেই কি কোন ঔষধ ভ্যাসিন,টিকা।বতর্মানে আমাদের এই এলাকার অনেক কৃষক ভাইয়ের গরু এ রোগে আক্রান্ত। এদের গরুগুলো বাঁচান।
প্রাণী অফিস জানায় এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ, তাছারা এটি মশা,মাছির মাধ্যমে ছরিয়ে পড়তে পারে। মুলত জুন জুলাইয়ের দিকে (গড়মকালে) এ রোগের বেশী প্রাদূরভাব দেখা দেয়। এ এরোগের
প্রতিষেধক হিসেবে গরুকে প্যারাসিটামল ও এন্টিহিস্টাভেট দেয়া যেতে পারে।ভূলেও এ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেয়া যাবেনা। এর প্রতিষেধক হিসেবে মশারি,গরু রাখার ঘর,পরিষ্কার রাখতে হবে।
এ বিষয়ে কথা হলে ডোমার উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা.মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন এরোগের যে মেইন চিকিৎসক ভেটেরিনারি সার্জন সেই পোষ্টটি বর্তমানে খালি। উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে আমি অনেক বার চাহিদা দিয়েছি।তাছারা আমার
একার পক্ষে এ দ্বায়ীত্ব পালন করা অসম্ভব।